চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণের নকল কার্ড তৈরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম কাউছারুল আলম কামরুল নকল শতাধিক কার্ড জব্দ করেছেন।

একইসঙ্গে নকল কার্ডে চাল বিতরণের কারণে বঞ্চিত প্রকৃত কার্ডধারীদের নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে চাল ক্রয় করে বিতরণ করেছেন। অভিযোগের তীর স্থানীয় কয়েকজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। যদিও তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ১ হাজার ৮৪৩ জন কার্ডধারী ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কাউছারুল আলম কামরুল নিজে কার্ড তৈরি করে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে কার্ড বিতরণ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান কাউছারুল আলম কামরুল জানান, শুক্রবার (৮জুলাই) দিনব্যাপী এই কার্ডের বিপরীতে চাল বিতরণকালে কিছু নকল কার্ড ধরা পড়ে। যাতে তার মূল কার্ডের অবিকল করে লোকজনের কাছে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে এ ধরনের প্রায় ১৩০টি নকল কার্ড খুঁজে পান। যাদের অধিকাংশই বিতরণ করা হয়েছে।

বিতরণ পূর্বে যেগুলো ধরা পড়ে কার্ডগ্রহিতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, ওই কার্ডগুলো তাদেরকে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে কার্ডধারীরা ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসান আলী ও মো. ফারুক হোসেন লিটন এসব কার্ড তাদের দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

নকল কার্ডধারী ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকেনের স্ত্রী ও ৮নং ওয়ার্ড রোকেয়া বেগম বলেন, আমরা আমাদের এলাকার মেম্বারদের মাধ্যমে কার্ড পাই। আমরা তো জানি না এগুলো নকল কার্ড।ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কাউছার আলম কামরুল শনিবার দুপুরে জানান, নকল কার্ডের কারণে চাল কম হওয়ার কারণে আমি এখন আমার নিজ উদ্যোগে ১ টন চাল ক্রয় করে শনিবার (৯ জুলাই) বাকী কার্ডধারীদের চাল দিয়েছি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ করা হবে।

এই ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন লিটন জানান, আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না।

অপর ইউপি সদস্য মো. হাসান আলী জানান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাকে ৯৫টি কার্ড দিয়েছেন। আমি সেগুলো বিলি করেছি। নকল কার্ড কারা করছে আমি জানি না।